ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ

দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে ছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.2389 এর লেভেল টেস্ট করে, যা এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণেই আমি পাউন্ড বিক্রি করা থেকে বিরত থাকি।

শুক্রবার প্রকাশিত মার্কিন প্রতিবেদনের প্রভাবে ডলারের বিপরীতে পাউন্ড দুর্বল হয়। তবে, কিছুক্ষণের মধ্যেই এই কারেন্সি পেয়ার পুনরুদ্ধার শুরু করে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারের সাথে সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের ক্রেতারা আজ সেদিনের ক্ষতি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করতে পারে। এর মানে হলো যে এই পেয়ারের মূল্যের দিকনির্ধারণের "যুদ্ধ" পুরোপুরি শেষ হয়নি।

আজকের যুক্তরাজ্যের পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটের পরিস্থিতি নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে কম হয়, তবে এটি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়াতে পারে। যেহেতু পরিষেবা খাত যুক্তরাজ্যের জিডিপির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ, এর দুর্বলতা পাউন্ডের উপর আস্থা কমাতে পারে এবং ডলারের বিপরীতে এর দরপতন ঘটাতে পারে।

কম্পোজিট PMI, যা উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতের তথ্য একত্রিত করে বিবেচনা করা হয়, বিনিয়োগকারীদের মনোভাবকে প্রভাবিত করতে পারে। উভয় সূচকের দুর্বল ফলাফল ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং তাদের আর্থিক নীতিমালা পুনর্বিবেচনার দিকে ধাবিত করতে পারে। এই অবস্থায় পাউন্ডের মূল্যের অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে এবং মূল্যের ওঠানামার মাত্রা তীব্র হতে পারে।

আজকের ট্রেডিং কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি প্রধানত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর নির্ভর করব।

বাই সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2497-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2459-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2497-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। কারেকশন অব্যাহত থাকার অংশ হিসাবে আজ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ ! এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2432-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2459 এবং 1.2497-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।

সেল সিগন্যাল

পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2432-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেলের নিচে নেমে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2394-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। পুনরায় নিম্নমুখী প্রবণতার প্রত্যাশায় মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ ! এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।

পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2459-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2432 এবং 1.2394-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।

চার্টে কী আছে:

• হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
• হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
• গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
• MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:

• মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
• গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
• সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
• স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
• সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।