সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট
সোমবার, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে। সোমবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল, কিন্তু শুধুমাত্র এটিকে ডলারের দরপতনের জন্য দায়ী করা যায় না। শুক্রবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম বাজার ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম সংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল, তবুও ডলারের মূল্য কিছুটা বেড়েছিল। তাই, সোমবার আমরা ডলারের "ন্যায্য মূল্য পুনরুদ্ধার" হতে দেখতে পেয়েছি। সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে (যেমনটা আমরা পূর্বাভাস দিয়েছিলাম) এবং তা অব্যাহত রয়েছে। এই সপ্তাহে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংকেতের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। এটিও গুরুত্বপূর্ণ যে আজ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হচ্ছে, যা উল্লেখযোগ্যভাবে এই পেয়ারের মূল্যের ভোলাটিলিটি বা অস্থিরতা বাড়াতে পারে। মূল্যের কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে এই সপ্তাহে মৌলিক পটভূমি খুবই প্রভাবশালী হবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট
সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0888-1.0896 এরিয়ার উপরে এবং পরে নিচে কনসলিডেটেড হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই, মূল্য প্রত্যাশিত দিকে 20 পিপসও মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়। সোমবারের মূল ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টটি রাতের এবং সকালের ট্রেডিং সেশন খোলার মাঝামাঝি সময়ে ঘটেছিল।
মঙ্গলবারে কীভাবে ট্রেড করতে হবে:
ঘন্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে মাসব্যাপী দরপতনের পর EUR/USD পেয়ারের মূল্যের কারেকশন চলমান রয়েছে। অন্তত কিছু কারণ রয়েছে যা ইউরোর দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করে। এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশনটি শক্তিশালী হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কারণ এর জন্য নিয়মিতভাবে ইউরোকে সমর্থন যোগাতে পারে এমন খবরের প্রয়োজন হয়। তবুও, সকল ক্ষেত্রে প্রতিবেদনের ফলাফল ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বক্তব্যও পর্যাপ্ত নয়, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ডলার ক্রয়ের দিকে ঝুঁকছে।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0888-1.0896 এরিয়ার ভেতরে ট্রেডিং করার কথা বিবেচনা করতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়ার নিচে কনসলিডেট হয়েছে, তাই আরও দরপতনের সম্ভাবনা থাকতে পারে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডিং করার জন্য নিম্নলিখিত লেভেলেগুলো বিবেচনা করুন: 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0845-1.0851, 1.0888-1.0896, 1.0940-1.0951, 1.1011, 1.1048, 1.1091, এবং 1.1132-1.1140। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়নে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্দের ভাষণ অনুষ্ঠিত হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ISM থেকে পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বইলে নির্ধারিত রয়েছে। আমরা মনে করি, আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হচ্ছে ISM থেকে প্রকাশিতব্য PMI সূচক। যদি এই সূচকের ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে নেতিবাচক হয়, তবে এটি ডলারের আরেকটি দরপতনকে উদ্দীপিত করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী কী আছে:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।